শেরে-ই-বাংলা একে ফজলুল হক এর জন্ম স্থান চাখার ইউনিয়নকে তিলোত্তমা ইউনিয়নে পরিনত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ০৪ নং চাখার ইউনিয়ন বর্তমান চেয়ারম্যান ও বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকু। গত নির্বাচনে আকাশ ছোয়া জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বে ও দলীয় সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়ে নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচন করে নৌকাকে বিজয়ী করেছেন। গত ০৫ বছরে জনপ্রতিনিধি না হয়ে ও ব্যক্তিগত ভাবে জনগনের সেবা করে গেছেন নিরলস ভাবে। মহামারী করোনায় হত দরিদ্রদের সহ যারা লোক লজ্জায় প্রকাশ্যে আসতে পারেন নি রাতের আধারে তাদের বাড়িতে বাড়িতে খাবার পৌছে দিয়ে প্রমান করেছেন চাখার মাটি তার
ভালাবাসার। তার আত্মা। মজিবুল ইসলাম টুকু চাখার কে নিজের ও সকলের সহযোগীতায় একটি তিলোত্ত্বমা ইউনিয়ন হিসেবে গড়তে চান। তাই তিনি চাখারের সর্বস্থরের জনগনের কাছ থেকে সহযোগীতা চেয়েছেন। তিনি বলেন আমি একা আপনাদের টুকু চাখারকে সাজাতে সব কিছুর জোগান দিব কিন্তু আপনারা যারা নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছেন তারা আন্তরীকতার সহিত এগিয়ে আসলে চাখার হবে এক অনন্য নগরী। তাই আসুন চাখার আপনার আমার সবার তাকে ঢেলে সাজাতে সবার আন্তরীকতাসহিত উন্নয়ন মূলক কাজে সম্পৃক্ত হই।
কে এই টুকু
----------------
১৯৭৩ সালের ১ লা ফেব্রুয়ারীতে চাখারের চাখারে সভ্রান্ত মুসলিম পরিবার তার জন্ম। মরহুম সৈয়দ আবদুল গনির সুযোগ্য সন্তান এবং শেরে-ই-বাংলা একে ফজলুল হক এর বড় ফুপুর বংশধর.. এই সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকু।
টুকুর বিগত দিনের কর্মকান্ড
----------------------------------------
গত ২০১১ সালে ০৪ নং চাখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে এলাকার মানুষের সর্বজন প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন এই টুকু। ৫ টি বছর সুনামের সহিত ইউনিয়ন পরিচালনা করে ও গত নির্বাচনে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বে ও যখন দলের মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হন তখন চাখার ইউনিয়নবাসী খুবই হতাশ ও মর্মাহত হয়েছিল। কিন্তু তারপর ও দলের সিদ্ধান্ত মেনে দলের পক্ষে কাজ করে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করেন। গত ০৫ বছর তার অভাবটা উপলব্ধি করেছে চাখারবাসী। এবারের নির্বাচনে মজিবুল ইসলাম টুকুকে নির্বাচিত করে এবং চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় চাখার বাসী আপ্লুত আবেগে বলেন আমরা যোগ্য নেতাকে নেতৃত্ত্ব স্থানে পেয়েছি।
আজ আমাদের স্বপ্ন পূরন হয়েছে। সংগ্রামী এই চেয়ারম্যান ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রীয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে যোগদান করে দীর্ঘ ২৮ বছর সকল আন্দোলন সংগ্রামে সম্পৃক্ত থাকা টুকু ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারী নির্বাচনে বরিশাল লঞ্চঘাটে হামলার স্বিকার হন। ঐ বছরের অসহযোগ আন্দোলনে তিনি ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনের জনতামঞ্চে দিন রাত অবস্থান করেন। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে চাখার কলেজ শাখার ছাত্রদলের সভাপতি হত্যা মামলায় আওয়ামীলীগ করার অপরাধে টুকুসহ তার তিন ভাই মামলার আসামী হয়ে ০৫ টি বছর গৃহহারা হয়েছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে এই দলের জন্য আর একটি হত্যা মামলার ও আসামী হন মজিবুল ইসলাম টুকু। মজিবুল ইসলাম টুকু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ০৫ বছরে এলাকা থেকে ০৬ জন মুসলমান ব্যক্তিকে বিনা খরচে মক্কা শরীফে হজ্ব করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। চাখার রেজিস্ট্রি অফিসে ৩৩ শতাংশ জমি দান করেন। থানার জন্য ৩৫ শতাং জমি, চাখার পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিঃ এর জন্য ১০ শতাংশ জমি দান করেন। চাখার হাইস্কুল ভবন নির্মানের জন্য মজিবুল ইসলাম টুকুর পরিবারের পক্ষ থেকে ২৬ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়। খলিশাকোঠা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ল্যাব স্থাপনের জন্য ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয় মজিবুল ইসলাম টুকুর পরিবারে পক্ষ হতে। শেরে বাংলার পরিত্যক্ত ডাকবাংলা টুকুর নিজ খরচে সংস্কার করে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন, শেরে বাংলার নিজ হাতের তৈরি হক স্পোটিং ক্লাবের তিন তলার বিল্ডিং এর কাজ নিজ খরচে করেন যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। চাখার ফজলুল হক ইনস্টিটিউট ( হাইস্কুল) স্কুলে ২ লাখ, চাখার ওয়াজেদ মেমোরিয়াল উচ্চ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২ লাখ টাকা এবং খলিশাকোঠা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২ টাকা উন্নয়ন তহবিলে প্রদান করেন। মজিবুল ইসলাম টুকু মহামারী করোনাকালীন সময়ে গৃহবন্ধী ২ হাজার মানুষদের বাড়িতে বাড়িতে রাতের আধারে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন। বর্তমানে চাখার পুলিশ ফাড়ির জন্য তিন শতক জমি দান করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চাখার ওয়াজেদ মেমোরিয়াল উচ্চ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ০৫ বছর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা বরিশালের বানারীপাড়া চাখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকু প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন বাঙ্গালী জাতির অবিসংবাদিক নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শ ধারন করে ডিজিটাল বাংলার রূপকার মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে একজন সৈনিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি বিপুল ভোটে চাখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়েছি। আমি আমার চাখার বাসীকে ভালোবেসি। আমি তাদের টুকু। আমার সর্বস্ব দিয়ে হলে ও চাখার বাসীর মুখে হাসি ফুটাবো। আমি এক বেলা খেলে আমার চাখার বাসী ও এক বেলা খাবে। আমি শুধু তাদের কাছ থেকে একটু ভালোবাসা চাই।