প্রিন্ট এর তারিখঃ জানুয়ারী ২২, ২০২৫, ৮:১১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ৯, ২০২৪, ১১:০১ এ.এম
বানারীপাড়ায় ধর্ষন মামলায় ছেলে মেয়ের ডি এন এ টেস্টের আবেদন জানিয়েছেন অভিযুক্ত ছেলের পরিবার
সঞ্জয় মিত্র, বরিশালা ব্যুরেো প্রধান
/
বরিশালের বানারীপাড়ায় সম্প্রতি ধর্ষন মামলায় গ্রেফতারকৃত স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীর পরিবার ছেলে মেয়ের ডি এন এ টেস্টের আবেদন জানিয়েছেন।
উপজেলার পৌর শহরের ৯ নং ওয়ার্ডের আনিছুর রহমানের স্ত্রী লাকি বেগম তারই ভাষুর একই বাড়ির মাহবুব খলিফার ছেলে সদ্য ২৪ এ এস এস সি পরীক্ষা দেয়া শিক্ষার্থী আলী হোসেনকে বিবাদী করে তার মেয়েকে জোর পূর্বক ধর্ষনের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ ( সংশোধিত ২০২০) ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় বানারীপাড়া থানা পুলিশ বিবাদী আলী হোসেনকে গ্রেফতার করে কোর্ট হাজতে প্রেরন করে। অভিযোগ পত্রে ছেলের বয়স ১৯ বছর দিলেও বাস্তবিক ছেলে নাবালক হওয়ায় মহামান্য আদালত বিবাদী পক্ষের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে শিশু শোধনাগার যশোরে পাঠিয়ে দেয়। অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে বাদী লাকি বেগমের বাড়িতে কোন গোছলখানা না থাকায় বাদীসহ তার পরিবার বিবাদীদের ঘরে সর্বদা গোছল করতে যেত। কিন্তু সরে জমিন তদন্ত এবং মাহবুব খলিফার বক্তব্য অনুযায়ী বাদীর বাড়িতে পাকা বাথরুম ও গোছল খানা রয়েছে। বিবাদী পক্ষ আরো দুটি যুক্তি দার করান, তার মধ্যে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে ধর্ষনের বিবরন। কিন্তু বাস্তব দিকে বিবাদী পক্ষের জোড়ালো দাবী একটি ছেলে জোর করে কোন মেয়ের পাজামা খুলে পাশাপাশি এক হাত দিয়ে মুখ চেপে ধর্ষন করতে পারে না, হয় বিষয়টি মিথ্যা না হয় উভয়ের সন্মতিতে। বিবাদীর পরিবার আরো বলেন অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে ধর্ষনের পূর্বে বিবাদী আলী হোসেন বার বার বাদীর মেয়েকে কুপ্রস্তাবসহ ধর্ষনের চেষ্টা করতো এবং বিবাদীর পরিবারকে জানানো হয়েছে তাহলে এঘটনার পর বিবাদীর মেয়ে ঐ ঘরে কেন গোছলে যেত, যেহেতু বাদীর বাড়িতে পাকা গোছল খানা রয়েছে। বিভিন্ন যুক্তি তর্ক ও আইনী বিভিন্ন বিষয় থাকায় মহামান্য আদালত বিষয়গুলো আমলে নিয়ে বিবাদী আলী হোসেনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এদিকে বিবাদী পক্ষ জানায় ঐ বাড়ির সমস্ত জমির অর্থেকের মালিক আমি মাহবুব খলিফা। আমার বিরুদ্ধে তারা বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করতেছে। এমনকি মাদক দিয়ে হলেও আমি সহ আমার পরিবারকে ধ্বংশ করার পায়তারা চালাচ্ছে। বাদীর মেয়ে আমার ভাইয়ের মেয়ে, মানে আমার ও মেয়ে। আমি ও চাই এই ঘটনা সত্যি হলে অপরাধীর বিচার হোক,তবে তা সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে। তিনি আরো বলেন ধর্ষন মামলা হতে পারে কিন্তু প্রকৃত ধর্ষন কারীর বিচার হওয়া উচিত। আমি কোর্ট হাজতে আমার ছেলের সাথে কথা বার্তা ও পারিপাশ্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে বিশ্বাসের সহিত বলতে পারি এই ঘটনার সহিত আমার ছেলে জড়িত নয়। তাই প্রকৃত ঘটনাকে সামনে আনতে হলে ছেলে ও মেয়ের জীন টেস্ট, ডি এন এ টেস্ট খুবই গুরুত্বপূর্ন। এর মাধ্যমে জানা যাবে আমার ছেলে এই ঘটনায় জড়িত কিনা। তাই আমি সবার কাছে জোর দাবী জানাই ছেলে ও মেয়ের জীন টেস্ট, ডি এন এ টেস্ট করানো হোক।
Design & Develop By Coder Boss