পথে কিছু লোকজনকে একত্রিত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তারা ওই দুই ছাত্রনেতা মোটরসাইকেল থামান । লোকজন তাদের নাম ও পরিচয় জানতে চাইলে নাঈম ও হৃদয় তা জানান। এরপরই তাদের ওপর চড়াও হয় জড়ো হওয়া লোকজন। হৃদয় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে উল্টো আরও মারমুখী হয়ে ওঠে তারা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফলস্বরূপ নাঈম ও হৃদয়কে ডাকাত সন্দেহে বেধড়ক পিটানো হয়।এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, নাঈম ও হৃদয়কে মারধর করা হচ্ছে। পরবর্তীতে সরে জমিন তদন্ত এবং সার্বিক খোঁজ খবর এ জানা যায় ওই দিনের ঘটনা কেন ডাকাতির ঘটনা কিংবা নাইম ও হৃদয়ের ভুলেরও কোন ঘটনা ছিল না বরং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ঘটনা। নাঈম ও হৃদয় ছাড়াও নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল জনি, স্বেচ্ছাসেবকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ইফতেখারুজ্জামান রাফি শিমুল, বিএনপি নেতা মাহবুব আহসান শাহীন, আতিকুর রহমান সুমন, মোঃ সামির হোসেন, জাহিদ হাসান, তানভীর হাসান সানি এবং নাহিদ মিয়াও এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। রাজনৈতিক একটি গ্রুপ হৃদয়ের পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে দাগ লাগাবার জন্য পরিকল্পিতভাবে এই নিকৃষ্ট ঘটনা ঘটিয়েছে। ভুক্তকরছো ভোগীরা জানান, স্থানীয় কিছু লোকজনকে উস্কে দেওয়া হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির গুজব ছড়িয়ে এই হামলা চালানো হয়। ক্ষতিগ্রস্থরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। সরে জমিন ঘটনা তদন্তে বাস্তবিক সত্যতা প্রকাশিত হলে ভুক্তভোগীদের মাঝে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস প্রকাশ পেয়েছে। তারা আইনগতভাবে ঘটনাটির সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন । তারা দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।