মাছে ভাতে বাঙ্গালী। আর সেই বাঙ্গালীদের প্রতারিত করছে কিছু অসাধু মাছ ব্যবসায়ীরা। বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার প্রানকেন্দ্র অবস্থিত বানারীপাড়া বাজার। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ বানারীপাড়া বন্দর বাজারে প্রতিনিয়ত দৈনন্দিন বাজার করতে আছে। মাছ বাজারে সব সময় থাকে উপচে ভরা ভীর। শীতের মৌসুম আসার সাথে সাথে কাচা বাজার, মাছের বাজারে প্রচুর পরিমানে সবজি,মাছ পাওয়া যায়। এর মাঝে কিছু অসাধু মাছ ব্যবসায়ীরা চিংড়ি মাছে জেলি মিশিয়ে ক্রেতাদের সাথে প্রতারনা করছে। ক্রেতাদের ঠকিয়ে তারা লাভবান হচ্ছে। শুধু লাভবান হলেও কিছুটা মানান সই হতো, কিন্তু না বাচ্চাদের অধিক প্রিয় এই চিংড়ি মাছ। আর সেই চিংড়িতে জেলি মিশিয়ে বিক্রি করায় ঐ চিংড়ি খেয়ে মানব দেহের চরম ক্ষতি হচ্ছে। প্রকাশ্য দিবালোকে এভাবে বানারীপাড়া মাছ বাজারে জেলি মিশ্রিত মাছ বিক্রি করলে ও দায়িত্বরত মৎস বিভাগ দেখে ও না দেখার ভান করে আছে। বর্তমান সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় বাজারের প্রতি করা নজরদারী রাখতে স্ব স্ব দপ্তরদের মনিটরিং এর ব্যবস্থা করার কথা বললেও বানারীপাড়া মাছ বাজার সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রন বিহীন। তারা জেলি যুক্ত চিংড়ির পাশাপাশি কারেন্ট জালের মাছ অহরহ বিক্রি করছে।সকাল ৮ টার দিকে সুষ্ঠ অভিযান পরিচালনা করলে প্রতিদিন জেলি যুক্ত অসাধু ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে যথোপযুক্ত শাস্তি দেয়া সম্ভব হবে। তবে বরাবরই অভিযানের পূর্ব মুহুর্তে অসাধু ব্যবসায়ীরা টের পেয়ে যায়। তাই অনেক সময়ই অভিযান সফল হয় না। তবে জেলিযুক্ত চিংড়ি এখনই অপসারন না হলে সমাজ ব্যবস্থা ও বাচ্চাসহ মানষদের চরম ক্ষতির হাত হতে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।