শিরোনাম
বানারীপাড়ায় চাউলাকাঠি ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নির্ধারণে দুই মন্ত্রণালয়ের নিয়মানুযায়ী  জটিলতা  সৃষ্টি, শিক্ষায় ব্যাঘাত  ওয়াসায় চাকুরী করা বানারীপাড়ার  আব্দুল মান্নানকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত একটি মহল, প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ  মেজর এম এ জলিল এর ৩৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী  উপলক্ষে স্মরনসভা প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ  জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বানারীপাড়া পৌর যুবদলের আলোচনা সভা ও দোয়া মিলাদ অনুষ্ঠিত  প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ প্রকাশিত সংবাদ এর প্রতিবাদ  আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে পূজা মন্ডপ ভাঙচুর করে বিএনপির বদনাম ছাড়াতে পারে —সান্টু আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে পূজা মন্ডপ ভাঙচুর করে বিএনপির বদনাম ছাড়াতে পারে —সান্টু
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০০ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

বরিশালে সিজারিয়ান অপারেশনের গজ রেখে সেলাইয়ের ঘটনায় ১৫কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ।

মোঃ সিরাজুল হক রাজু, বরিশাল সংবাদদাতা / ৩০২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ৮ জুন, ২০২২

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে অপারেশনের পর প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাইয়ের ঘটনায় ভুক্তভোগী শারমিন আক্তার শিলাকে ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ও তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ভিকটিমের পরিবারের খরচ নির্বাহের জন্য তাৎক্ষণিক ১০ লাখ টাকা দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জুন) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জীবননেছা মুক্তা জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করেন।বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি করা হয়েছে। এতে স্বাস্থ্য সচিব, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার এবং বরিশাল মেডিকেলের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
জানা গেছে, ১৬ এপ্রিল রাতে সিজারের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ঝালকাঠীর নলছিটি উপজেলার বাসিন্দা জিয়াউল হাসানের স্ত্রী শারমিন আক্তার শিলা। অস্ত্রোপচারের পর থেকে পেটে ব্যাথা অনুভব করছিলেন তিনি। এ জন্য সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার কিছু দিন পর পেটে প্রচণ্ড ব্যাথা শুরু হয়। ফুলে যায় পেট। ২১ মে পেট ফুটো হয়ে পুজ বের হয়। তাৎক্ষণিক ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানে ২২ মে পুনরায় অপারেশন করা হয়।
সে সময় শারমিনের বাবা আব্দুর রব সিকদার বলেন, সরকারি হাসপাতালে মেয়ে এনে ভর্তি করিয়েছি সুচিকিৎসা পাওয়ার জন্য। কিন্তু সেখানে ভুল চিকিৎসায় আমার মেয়ে মরতে বসেছে। এভাবে হলে মানুষ যাবে কোথায়? আমি বিচার চাই এই অপচিকিৎসা দেওয়া ডাক্তারের।

তিনি বলেন, অপারেশনের পর যখন আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন শেবাচিম হাসপাতালেই মেয়েকে দেখাই। সেখানে বলে নাড়ি প্যাঁচ পড়েছে। ওষুধ খেলে ঠিক হয়ে যাবে। তারা নতুন করে ওষুধ দেন। কিন্তু মেয়ে সুস্থ হয় না। একপর্যায়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে একটি বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করালে সেখানের চিকিৎসক জানান পেটে গজ রয়েছে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। শেষে হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি করালে ২২ মে সকালে অপারেশন করা হয়।
পুনরায় অস্ত্রোপচার করে গজ বের করা শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. নাজিমুল হক তখন বলেন, দীর্ঘদিন গজ থাকায় পেটের ভেতরে পচন ধরে নাড়ি ফুটো হয়েছে। অপারেশন করা হয়েছে। তার সার্বিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ