হিজলা(বরিশাল) প্রতিনিধি//
সরকারি লাইসেন্স বিহীন অটো ও বেবিট্যাক্সি গাড়ি কেঁড়ে নিয়েছে এতিম বালক আশরাফুলের জীবন।
হিজলা উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নে আজকের এই দুর্ঘটনা মোঃ আশরাফুল(০৫) বছর বয়সের শিশুর মৃত্যু, পিতা মৃত্যু আঃ সাত্তার সরদার।মমতায় সিক্ত মা হারিয়েছে তার সর্ব কুল,প্রতিবেশীদের আহাজারিতে স্তব্ধ বড়জালিয়া ইউনিয়ন।
সড়ক দুর্ঘটনা এখন বাংলাদেশে নিত্যদিনের ঘটনা। নানা উদ্যোগেও সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না সরকার। এতে প্রাণহানি যেমন বাড়ছে, তেমনি সম্পদের ক্ষতিও বেড়েই চলেছে। সড়ক দুর্ঘটনায় পথে বসছে অনেক পরিবার। দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, এতে মৃত্যুর হার দক্ষিণ এশিয়ায় এখন সর্বোচ্চ বাংলাদেশে।
বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত ‘ডেলিভারিং রোড সেফটি ইন বাংলাদেশ: লিডারশীপ প্রায়রিটিস অ্যান্ড ইনিশিয়েটিভস টু ২০৩০’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বাংলাদেশে দুর্ঘটনাকবলিত প্রতি ১০ হাজার যানবাহনে মারা যান ১০২ জন। পাশের দেশ ভুটানে এ সংখ্যা ১৬ দশমিক ৭০, ভারতে ১৩, নেপালে ৪০ ও শ্রীলঙ্কায় সাতজন। যদিও বাংলাদেশে প্রতি হাজারে যানবাহন আছে মাত্র ১৮ জনের। ভারতে এ সংখ্যা ১৫৯, নেপালে ৮১, ভুটানে ১০৯ ও শ্রীলঙ্কায় ৩২৭।
বাংলাদেশে প্রতি ১০ হাজার যানবাহনের দুর্ঘটনায় গড়ে দুজন সাইকেলচালকের মৃত্যু হয়। দুই বা তিন চাকার মোটরযানের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা ১১ দশমিক ২০। আর গাড়ি ও হালকা যানের ক্ষেত্রে প্রতি ১০ হাজার যানের দুর্ঘটনায় ১৩ দশমিক ৩০ জন গাড়িচালক ও ২৮ দশমিক ৬০ জন যাত্রী প্রাণ হারান। ট্রাক চালকদের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা ছয় দশমিক ১০, বাসচালকের ক্ষেত্রে আট দশমিক ২০ ও বাসযাত্রীর সংখ্যা ২৮৬ দশমিক ৬০ জন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পথচারী রয়েছেন। প্রতি ১০ হাজার যানবাহনের দুর্ঘটনায় বাংলাদেশে পথচারী মারা যান ৩২ দশমিক ৭০ জন। ভুটানে এ সংখ্যা শূন্য দশমিক ৫০, ভারতে এক দশমিক ২০ ও শ্রীলঙ্কায় দুই দশমিক ১০।
সাধারণ মানুষের প্রশ্ন এই উন্নয়নধারা সড়কে আর কত লাশের মিছিল হবে? এর পরিপূর্ণ উত্তর পওয়া সম্ভব হয়নি। আমাদের সচেতনতা পারে এমন দূর্ঘটনার থেকে কিছুটা পরিত্রাণ দিতে।