অসহায় বিধবার ঘরে যখন আগুন লেগে সর্বস্ব পুড়ে যায় এমতা অবস্থায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় বানারীপাড়ার পরিচিত মুখ, মুক্ত হস্তের দানবীর ও খোলা মনের মানুষ জিয়াউল হক মিন্টু।
ঘটনাটি বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে। মহিষাপোতা গ্রামের মৃত্যু আবেদ আলী হাওলাদের স্ত্রী জাহানারা তিন মেয়ে আর এক ছেলে নিয়ে বসতি স্থাপন করেন। তিন মেয়ে বিয়ে হয়ে যায়। ছেলেরা জীবিকার তাগিদে ঢাকায় স্বল্প বেতনে দারোয়ানের চাকুরি করে। মেয়ের ঘরের ৬/৭ বছরের নাতি আলামিনকে নিয়ে বসবাস করেন বৃদ্ধা জাহানারা। গত শনিবার হঠাৎ আলামিন দেখতে পায় পাটের খরিকে আগুন লেগে দাউ দাউ করে জ্বলছে। আলামিনের চিৎকারে নানী জাহানারা দৌড়ে এসে দেখে ঘরের সাথে সাথে তার কপাল ও পুড়ছে। আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিভাতে সচেষ্ট থাকে। কিন্তু তাপের ক্রমাগত বৃদ্ধিতে আগুনের কাছে কেহ ভিরতে পারে না, ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসলে ও ঘর পুরে ছাই। ফাঁকা ঘরে মূল্যবান বলতে টিভি ফ্রিজ সহ সকল আসবাবপত্র পুড়ে একাকার। দিশেহারা হয়ে পড়েন জাহানারা। ঠিক তখনই সাহায্য দূত/লোকমুখের আল্লাহর ফেরেস্তা রূপে পাশে দাড়ান বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলের সহ সভাপতি, সলিয়া বাকপুর ইউনিয়নের সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান জিয়াউল হক মিন্টু। ঈদ সামনে রেখে তিনি কাঠ মিস্ত্রি, কাঠ, টিন সহ সকল যাবতীয় সকল প্রয়োজনীয় আসবাব পত্রের ব্যবস্থা করেন। খাবার কিনে দেন। নিজ তহবিল হতে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে পরিপূর্ন একটি ঘর নির্মানের যাবতীয় ব্যবস্থা করে দেন।
এ বিষয়ে বিধবা জাহানারা কান্না জনিত কন্ঠে বলেন, আল্লাহর রহমতে মিন্টু চেয়ারম্যান আমাকে বাঁচিয়েছেন। তিনি না হলে আমাদের থাকার কোন ব্যবস্থা হতো না। তিনি আমাদের ঘর দিয়েছেন। জাহানারা আল্লাহর কাছে বলেন ” আল্লাহ তুমি মিন্টু চেয়ারম্যানের ভালো করো। উপস্থিত এলাকাবাসী জিয়াউল হক মিন্টুর এ কৃতকর্মে আপ্লুত আবেগাপন্ন হয়ে পড়েন।
জিয়াউল হক মিন্টু’র সাথে আলাপ কালে সাংবাদিকদের জানান আমি প্রচার বিমুখ একজন মানুষ। আল্লাহ তায়ালা আমাকে যতটুকু সামর্থ্য দিয়েছেন তার মধ্যেই আমার প্রতিবেশী কিংবা অসহায় মানুষের সাহায্য করতে পেরে আমি আনন্দিত। “মানুষ তো মানুষের জন্যই, আমি না হলে হয়তো অন্য কেহ এগিয়ে আসত। তাছাড়া জাহানারা বেগম খুবই অসহায়। তার জন্য কিছু করতে পরেছি এটাই আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া। তিনি কাঠমিস্ত্রিদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন ৫ দিনের মধ্য কাজ শেষ করতে হবে যাতে জাহানারা বেগম তার পরিবার নিয়ে নতুন ঘরে ঈদ উৎযাপন করতে পারে। তিনি বলেন এলাকার আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের কাছে বলেছি, তারা এই মহিলার গৃহ নির্মানের তদারকি করবেন।