শিরোনাম
বানারীপাড়ায় চাউলাকাঠি ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নির্ধারণে দুই মন্ত্রণালয়ের নিয়মানুযায়ী  জটিলতা  সৃষ্টি, শিক্ষায় ব্যাঘাত  ওয়াসায় চাকুরী করা বানারীপাড়ার  আব্দুল মান্নানকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত একটি মহল, প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ  মেজর এম এ জলিল এর ৩৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী  উপলক্ষে স্মরনসভা প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ  জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বানারীপাড়া পৌর যুবদলের আলোচনা সভা ও দোয়া মিলাদ অনুষ্ঠিত  প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ প্রকাশিত সংবাদ এর প্রতিবাদ  আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে পূজা মন্ডপ ভাঙচুর করে বিএনপির বদনাম ছাড়াতে পারে —সান্টু আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে পূজা মন্ডপ ভাঙচুর করে বিএনপির বদনাম ছাড়াতে পারে —সান্টু
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

গুয়ারেখা উপনির্বাচনে ভোটারদের কাছে মিথ্যা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ

স্বরূপকাঠি (পিরোজপুর)প্রতিনিধি // / ১৬৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩

স্বরূপকাঠি (পিরোজপুর)প্রতিনিধি //

পিরোজপুরে গুয়ারেখা ইউনিয়নে উপ-নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই ভোটারদের কাছে মিথ্যা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে । নৌকা মার্কার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এমন অভিযোগ করেন। নির্বাচনী আচরণবিধি উপেক্ষা করে মিথ্যা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে জামাত বিএনপি সমর্থিত সতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান গাজির লোকজন ।

চোখের পাশে সামান্য কেটে যাওয়ার স্থানে মাথা জুড়ে ব্যান্ডেজ করে মামলা দেয়া নিউজ করা ছবি ভাইরাল করার মতো ঘটনা ঘটছে।আবার সামান্য কথার কাটাকাটি ঘটনায় মারামারি সেটাকেও নির্বাচনি সহিংসতা বানানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কেউ বলছেন, ৭১কে হার মানিয়েছে, সংখ্যালঘুর উপর হামলা এরকম অনেক পোস্ট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গরম করে ফেলেছেন কোন কোন নেতা। এছাড়াও উঠন বৈঠকের নামে সভা সমাবেশে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করা । উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ও নির্বাচন প্রচারণাকালে ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করিয়া বক্তব্য প্রদানের মতো ঘটনা ঘটেছে ।

এগুলো নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় নাই। শুধু শুধু নির্বাচনী পরিবেশ ঘোলাটে করার মতো ঘটনা। যেখানে নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তার পরেও গুয়ারেখা উপ নির্বাচনে নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মিথ্যা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন মিজানুর রহমান গাজির লোকজন। একবার আচরণ বিধি লংঘের কারনে সতন্ত্র পার্থী মিজানুর রহমান গাজিকে নির্বাচন অফিস থেকে নোটিশ করা হয়েছিলো।

 

মিথ্যা বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিষয়ে নৌকা মার্কার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মিলন বলেন, এগুলো সব সাজানো নির্বাচনে প্রতিপক্ষে ঘায়েল করার একটা সহজ রাস্তা। নিজের মাথা কাইটা রক্ত বের করে মামলা চালায়। ওভারঅল এগুলো প্রার্থীর জামেলা।

আমারা সহিংসতা পারাপারি,কাটাকাটি, মারামারি এগুলো পছন্দ করিনা। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নৌকা দিয়েছেন এই বার্তা আমরা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়ে আসছি।

আমাদের ইউনিয়নে কয়েকজন মোনাফেক বেইমান আছে যারা দল করে এবং দলের পদ ধারন কইরা আছে, অপরদিক মিজান গাজির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা খাইয়া তার পক্ষে কাজ করে। মিজান গাজির কোটি কোটি টাকা আছে। তারা ইউনিয়নে মাইনারেটির মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এবং আওয়ামীলীগের কর্মিদের মাঝে বিবাদ সৃষ্টি করেছে পক্ষান্তরে তারা বিএনপিকে সাপোর্ট করে। মিজান গাজী বিএনপি পরিবারের লোক।

যেখানে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীরা সদস্যরা নির্বাচন স্বচ্ছ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেখানে জামাত বিএনপি সমর্থীত প্রার্থী ওর অনুসারীরা একের পর এক মিথ্যে নাটক সাজাচ্ছে। দলের কতিপয় নেতা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানান অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইউপি সদস্য আরিফুর ইসলাম বেলেন,গতপরশু যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা পূর্ব শত্রুতার কারনে ঘটেছে। ওটাকেও নির্বাচনের ইস্যু বানিয়ে নির্বাচনী এলাকায় বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি আলম সিকদার কথিত একজন সাংবাদিকের কাছে যে ভুয়া তথ্য দিয়ে ভিডিও ভাইরাল করছে। যেটা ইউনিয়ন বাসির জন্য দুঃখ জনক বিষয়। যেটি সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা আমি আলম সিকদারের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এই নৌকা জাতির জনকের নৌকা, শেখ হাসিনার নৌকা, ইউনিয়ন বাসির নৌকা, উন্নয়নের নৌকা। আগামী ১৭ তারিখ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য ইউনিয়ন বাসিকে আহবান জানিয়ে যাচ্ছি।

স্বরূপকাঠি উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহীন শরিফ বলেন,গত পরশুর ঘটনাটি আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি ওটার সাথে নির্বাচনের কোন সম্পৃক্ততা নাই। তারা একই বাড়ির লোক কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঐ ঘটনা ঘটে। নির্বাচন দিন পর্যন্ত প্রতিটি ওয়ার্ডে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। নির্বাচন অফিস সর্বদা মনিটরিং করতেছে।যে কোন প্রার্থী হোক না কেন কাউকেই কোন প্রকার সহিংসতায় জড়ানোর সুযোগ দেয়া হবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ