আনোয়ার হোসেন, পিরোজপুর।
তারা কোন অপরাধ বা ভুল করেনি। বরং উপকার করেই চুরির মামলার ৮ নাম্বার আসামি হলেন আলমগীর শেখ। উপকার করার প্রতিদান পেলাম চুরির মামলার ৯ নম্বর আসামি এমনটাই ক্ষোভের সাথে জানালেন জান্নাত এন্টারপ্রাইজ এর মালিক জুলফিকার। চুরির মামলার সাক্ষী রাখার কথা বলে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে এস আই মনির। ন্যায় বিচার ও সুষ্ঠু সমাধানের আশায় ২৫শে জুন ২০২৩ইং তারিখ এডিশনাল ডি আই জি (ক্রাইম) পুলিশ হেড কোয়াটার্স এ লিখিত অভিযোগ করেছেন।
গত ১৫/০৮/২০২২ ইং তারিখে, পিরোজপুরে পুরাতন ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন তুলাতলা নামক স্থানে মেসার্স মোল্লা ট্রেডার্স, এবং জান্নাত এন্টারপ্রাইজ এর মালিকের সাথে এমনই ঘটে। ঘটনার মূল হোতা চোরাই সিমেন্ট ক্রেতা কুমার খালির বাবুল শেখ রয়ে গেছেন ধরা ছোয়ার বাইরে। উপরোক্ত বাবুল শেখ দোকানে এসে রিতিমত ভয়ভীতি হুমকি ধামকি দেখিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে বাবুল শেখ এর বলেন, ওটা আমার সাথে না,ওটা একটা ভুল বোঝা বুঝি সামনা সামনি কথা বলেন,ওটা আমার ভাই বলতে পারবে,আপনি যে কোন যায়গায় বসতে পারেন। প্রশাসন নিয়ে বসেন,আরো সাংবাদিক নিয়ে বসেন।এসপি অফিসে বসেন, ডিসি অফিসে বসে।যে কোন যায়গায় বসে কথা বলেন।আমি পরকালে জলতে রাজিনা।
ভুক্তভোগী আলমগীর শেখ জানান, আমি সুনামের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোল্লা ট্রেডার্সে ব্যাবসা করে আসছি। যা সকলেই অবগত গত ১৫/০৮/২০২২ ইং তারিখে, ঘাটে আমার ইট,বালু, খোয়া, সিমেন্ট বিক্রয়ের লোড আনলোড ঘাটে সিমেন্ট ভর্তি একটি ট্রলার রাখিয়া ট্রাকে সিমেন্ট উঠাইতে থাকে। এ সময় হঠাৎ
করিয়া বৃষ্টি আসিলে কনট্রাক্টর মোঃ বাবুল শেখ, পিতা মৃত-আঃ করিম শেখ, সাং- কুমারখালী, এই ০১৭২০৫০৮৬৩১ নম্বর মোবাইলে কল দিয়ে আমাকে অনুরোধ করে, ভাই আমার সিমেন্ট বৃষ্টিতে ভিজিয়া যায়, আমার কিছু সিমেন্ট আপনার দোকানে রাখাতে চাই যদি অনুমতি দেন।
তখন আমি বলি ভাই আমার দোকানে জায়গা কম,এক দিনের বেশী সিমেন্ট রাখা যাইবে না। সে আমার দোকানে ৫০৬ ব্যাগ এবং জান্নাত এন্টারপ্রাইজ প্রোঃ মোঃ জুলফিকার এর দোকানে ২৪০ ব্যাগ,মোট ৭৪৬ ব্যাগ সিমেন্ট দুই দোকানে রাখে। সকালে দোকান খোলার পর পরই পিরোজপুর সদর থানার এস,আই (নিঃ) মোঃ মনিরুল ইসলাম এসে আমাকে বলে এই আকিজ সিমেন্ট চোরাই সিমেন্ট, তখন আমি তাকে বলি এই সিমেন্ট আমার না, বাবুল কনট্রাকটর এক দিনের জন্য আমার দোকানে রাখে এবং পরে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর করার জন্য সাইডে সিমেন্ট নিয়া যাবে বলে আমাকে জানায়। তখন এস,আই মনিরুল ইসলাম ১৬/০৮/২০২২ ইং তারিখে সিমেন্ট সিজ করিয়া রাখিয়া আমাকে বলে, আমার অনুমতি ছাড়া কাহাকেও সিমেন্ট দিবেন না।
০৩/০৯/২০২২ ইং তারিখ সকালে এস,আই মোঃ
মনিরুল ইসলাম উপস্থিত থাকিয়া দুই দোকান থেকে ৬২৬ ব্যাগ সিমেন্ট আকিজ সিমেন্ট কোম্পানীর লোক- মোবাইল ০১৭৫৭৬০৯৫৬৭/
০১৮৭৩৬৭৩৬৫০ এদের নিকট গাড়ীতে উঠাইয়া দেয়। যাহার ১ নং গাড়ী নম্বর-ড-১৪২৩৭৮, ২ নং গাড়ী-ঢাকা-১৪২৩৭৮, ৩ নং গাড়ী-ঢাকা-মেট্রো- ২২/৪৫০৬, ৪ নং গাড়ী-ঢাকা মেট্রো-১৪২০৭৮ মোট ৪ টি গাড়ীতে সিমেন্ট আমাদের দুই দোকান থেকে নিয়া যায়।
বাকী ১২০ ব্যাগ সিমেন্ট আমার দোকানে এস,আই মনিরুল ইসলাম সাহেব রেখে
যায় এবং বলে এই সিমেন্ট আমি পরে নিব। উক্ত সিমেন্ট থেকে ৩১/১০/২০২২ ইং তারিখে এস,আই মোঃ মনিরুল ইসলাম ৫০ ব্যাগ সিমেন্ট এর টাকা ২৭,০০০/- আমার নিকট থেকে বুঝিয়া নেয়। পরে ১৩/১১/২০২২ ইং তারিখে ৬০ ব্যাগ সিমেন্ট এর টাকা ৩২,৪০০/-টাকা আমার নিকট থেকে বুঝে নেয়। পরে ১১/১২/২০২২ ইং তারিখে ১০ ব্যাগ সিমেন্ট এর ৫,৪০০/- টাকা নিয়া নেয়।
সর্ব মোট ৬৪,৮০০/- টাকা এস,আই মনিরুল ইসলাম আমার নিকট থেকে নিয়া যায়। তখন আমি বাবুল কন্ট্রাকটর আমার ঘরে সিমেন্ট রাখিয়াছে তাহার স্বীকারোক্তি মোবাইলে রেকর্ড করা এস,আই মনিরুল ইসলাম কে শুনাইয়াছি।
পরবর্তীতে সদর থানার বখশি মোঃ রিয়ান ফোন দিয়া আমাকে থানায় ডাকিয়া নিয়া এস,আই, মনিরুল ইসলাম এর সাথে দেখা করিলে মনির বলেন, আপনার দোকানে সিমেন্ট পাওয়া গিয়াছে, পরবর্তীতে আপনার সমস্যা হইতে পারে। তখন আমি বলি স্যার, আপনার উপস্তিতিতে সিমেন্ট কোম্পানী ৬২৬ ব্যাগ সিমেন্ট নিয়াছে এবং বাকী ১২০ ব্যাগ সিমেন্ট এর মূল্য ৬৪,৮০০/-টাকা তো আপনি নিয়াছেন।
তখন এস,আই মনিরুল ইসলাম আমাকে ভয় ভীতি দেখায় এবং বলে তোমার ঘরে যখন মাল পাওয়া গিয়াছে এ জন্য তোমার নাম সার্জসিটে যাইতে পারে বলিয়া জানায়। তখন আমি তাকে প্রথমে
৪০,০০০/- টাকা দেই। পরবর্তীতে আবার থানার বখশি তাহার ফোন দিয়া আমাকে থানায় আসিয়া এস,আই মনিরুল ইসলামের সাথে দেখা করিতে বলে। তখন আমি এস, আই, মনিরুল ইসলাম এর সাথে দেখা করি, সে বলে যে টাকা দিয়াছো তাতে হবে না আরও টাকা দিতে হবে। তখন আমি আরও নিরূপায় হইয়া
৩০,০০০/- হাজার টাকা তার হাতে দেই। তখন সে আমাকে বলে তোমার কোন ভয় নাই, তোমাকে প্রয়োজন হইলে এই কেসের স্বাক্ষী রাখতে পারি। কিন্তু পরবর্তীতে উক্ত কেস নং-০৯/১৭২, আমি ১৫/০৬/২০২৩ ইং তারিখে সার্জসীটের নকল উত্তোলন করিয়া দেখিতে পাই
যে, সার্জসীটে আমার নাম ৮ নম্বরে রাখা এবং জুলফিকার এর নাম ৯ নম্বরে।