বরিশালের বানারীপাড়ায় মহিলাদের হাতে ঝাড়ু ও জুতা পিটার স্বিকার হয়েছে সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের ০২ নং ওয়ার্ডের (বাশার ও গোয়াইলবাড়ি) ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সোহেল হাওলাদার। বার বার অন্যায় অত্যাচার ও জুলুম নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে প্রকাশ্য লোকজনের সামনে গত ৩০ শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে কয়েকজন মহিলা সোহেল মেম্বারকে ঝাড়ু ও জুতা পিটা করে। বিষয়টি সোসাল মিডিয়া (বিভিন্ন ফেইজবুক আইডিতে) ছড়িয়ে পড়ে। সরেজমিন, বিভিন্ন তথ্য ও বিভিন্ন ফেইজবুক আইডির তথ্য সূত্রে জানা যায় উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের ০২ নং ওয়ার্ডের সোহেল মেম্বার দীর্ঘদিন যাবত তার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রায়ই লোকজনের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাবে চাঁদা আদায় করে। এলাকার মেম্বার হবার সুবাধে বিভিন্ন কাজের জন্য লোকজন তার কাছে গেলেই সে কাজের বিনিময় টাকা দাবি করে। এ ছাড়া এলাকার বিভিন্ন যুবক ও আর্থিক সচ্ছল ব্যক্তিদের কাছে নিজ প্রয়োজনে বিভিন্ন অজুহাতে বিভিন্ন সময় দাবিকৃত টাকা না পেলে “মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে ধরিয়ে দিবো” বলে হুমকি দেয়। প্রসংগত বিগত দিনে এলাকার এক ছেলেকে মাদক ব্যবসার কথা বলে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয় এবং ৩০০০০ টাকা চাঁদা নেয়। জানা যায় এলাকার জমি সংক্রান্তসহ বিভিন্ন বিষয়ের বিবাদ মিমাংসার ক্ষেত্রে সোহেল মেম্বার অন্যায় পক্ষকে সমর্থন দেয় এবং শালিশীর নামে দুই পক্ষের কাছ থেকে টাকা জমা রেখে কিংবা গোপনে আলাদা আলাদাভাবে উভয় পক্ষ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে থাকে। এভাবেই বিভিন্ন বিষয়ে সোহেল মেম্বার তার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে সাধারণ মানুষের প্রতি ব্যাপক ভাবে যুলুম নির্যাতন করে যাচ্ছে। সে কারণেই নির্যাতিত হয়ে ক্ষোভে এলাকার একাধিক মহিলারা একত্রিত হয়ে সোহেল মেম্বারকে ঝাড়ু ও জুতা পিটা করে। বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে সোহেল মেম্বার ঝাড়ু ও জুতা পিটা খেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে থানায় গিয়ে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঝাড়ু ও জুতা পিটার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে নির্দোষ ৫ জনের নামে মাদক ব্যবসায়ী বলে অভিযোগ দায়ের করেছে অথচ যাদের নামে সে অভিযোগ দায়ের করেছে তারা কেহই সেখানে উপস্থিত ছিলো না। বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার করে এলাকার নিরীহ লোকজনদের মেম্বরের হাত থেকে বাচাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এলাবাসীর জোড় দাবী জানিয়েছে। জুতা ও ঝাড়ু পিটানের ঘটনাটি বিভিন্ন ফেইজবুক আইডিতে ভাইরাল হওয়ায় বিষয়টি টপ দি নিউজে পরিনত হয়েছে। এ দিকে বাশার গ্রামের বড় বাড়ির মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী মুক্তা বাদী হয়ে বানারীপাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়া কিছু দিন পূর্বে সোহেল মেম্বর এলাকার নিরীহ অটোচালক সেলিম শেখকে মারধর করে। ২ বছর পূর্বে সরকারী ঢিপ টিউবওয়েল দেবার কথা বলে অটোচালক সেলিম শেখের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেয়। ধারালিয়া স্কুল সংলগ্ন চায়ের দোকানে বসে সেলিম শেখ মেম্বরের কাছে ডিপ টিউবওয়ের বিষয়ে জানতে চেয়ে তার টাকা ফেরত চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে অসহায় অটোচালককে মারধর করে সোহেল মেম্বর। এ প্রসংগে সোহেল মেম্বারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি তাই তা বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
হক ভিলা,
সদর রোড, বরিশাল জেলা
বরিশাল বিভাগ।
মোবাইলঃ ০১৮৩৮৯২২১৪৯
প্রকাশক ও সম্পাদক:মোঃ জাকির হোসেন
প্রধান সম্পাদকঃ
বার্তা সম্পাদকঃ কাজী এনায়েত
নির্বাহী সম্পাদকঃ