বানারীপাড়ায় চাউলাকাঠি ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নির্ধারণে দুই মন্ত্রণালয়ের নিয়মানুযায়ী জটিলতা সৃষ্টি, শিক্ষায় ব্যাঘাত
স্ট্যাফ রিপোর্টার// দুই মন্ত্রণালয়ের ভিন্ন নিয়মানুযায়ীতে বরিশালের বানারীপাড়ার চাউলাকাঠি ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নির্ধারণে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষায় কার্যক্রমে ও ব্যাঘাত দেখা দিয়েছে। ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হাইয়ান অবসরে যাওয়ার পরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন উপাধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হালিম। তারপরে সহকারি অধ্যাপক মাওলানা একে এম ফজলুর রহমান। একেএম ফজলুর রহমান অবসরে যাওয়ায় কলেজে পুনরায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের প্রয়োজন দেখা দিলে বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও চাউলাকাঠি ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার গভর্নিংবডির (এডহক কমিটি) সভাপতি মো. ওবায়দুল্লাহ্ মাদরাসার জ্যেষ্ঠ সহকারি অধ্যাপক (বাংলা) এমএম এ জলিলকে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ এর ৫৭২৫….৩৯০ স্মারক অনুযায়ী অধ্যক্ষ ও সুপারের অবর্তমানে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বা ভারপ্রাপ্ত সুপার নিয়োগে নির্দেশনা অনুযায়ী ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব অর্পণ করেন। অন্যদিকে আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে উল্লেখ রয়েছে কোন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বা সুপার এর অবর্তমানে পত্র প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু যদি অত্র প্রতিষ্ঠানে উপাধ্যক্ষ না থাকে সেক্ষেত্রে আরবি বা ইসলামী বিষয় সমূহের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নির্ধারণ হবে এবং পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে বিধি মোতাবেক অধ্যক্ষর নিয়োগের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। পাশাপাশি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শেষ দফায় এও উল্লেখ রয়েছে যে এ প্রবিধানে যাই থাকুক না কেন সরকার কর্তৃক সময় সময় আবিকৃত এতদসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বা নীতিমালা বলবদ থাকিবে। সে মোতাবেক বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও চাউলাকাঠি ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার গভর্নিংবডির (এডহক কমিটি) সভাপতি মো. ওবায়দুল্লাহ্ মাদরাসার জ্যেষ্ঠ সহকারি অধ্যাপক (বাংলা) এমএম এ জলিলকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের যে নির্দেশনা দিয়েছে তা বৈধ। কিন্তু এমএম এ জলিলকে পদত্যাগ করাতে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ এনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও চাউলাকাঠি ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার গভর্নিংবডির সভাপতি বরাবর বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারী) বিষয়টি লিখিত আকারে অবহিত করা হয়।
আবেদন বলা হয় বুধবার (১ জানুয়ারী) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে এম এম এ জলিল মাদরাসায় দায়িত্ব পালণরত অবস্থায় বেলা ১১টার দিকে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একেএম ফজলুর রহমানের উপস্থিতিতে সহকারি অধ্যাপক মো. ইয়াসিনের নেতৃত্বে কতিপয় শিক্ষক ও বহিরাগত লোক তার কক্ষে প্রবেশ করেন। এসময় তারা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এমএমএ জলিলকে পদত্যাগ করার জন্য অকথ্য ভাষায় গালাগাল, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ফলে তিনি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে অব্যহতিপত্রে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য হন। তারা চলে যাওয়ার পরে তিনি তাৎক্ষনিক বিষয়টি মাদরাসার সভাপতি ও বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. ওবায়দুল্লাহ্ এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার আমিনুল ইসলামকে মুঠোফোনে অবহিত করেন। মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে মাদরাসার সহকারি অধ্যাপক মো. ইয়াসিনের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।