বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভার ০৭ নং ওয়ার্ডের ভূমিহীন অসহায় তহমিনা বেগম ভূমিদস্যু ও ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার ও তসিলদারের স্বেচ্ছাচারিতা, হুমকি দামকির হাত হতে রক্ষা পেতে ও সরকারী পুকুরটি দখলমুক্ত করতে ডি আই জি, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগে জানা যায় দূর্ঘটনায় এক হাত ভাঙ্গা মালেকের স্ত্রী তহমিনা বেগম মানুষের বাসায় কাজ করে সরকারের দেয়া জমিতে ৮ সদস্যের সংসারে ভরন পোষন করে। পৌর শহরের সর্বপ্রথম হোল্ডিং নাম্বরটি ও তহমিনা বেগমের। তার হোল্ডিং নং ০১। ডিসিআর কৃত ঐ জমির উপর লোলুপ দৃষ্টি পরে এলাকার জাহিদুল ইসলাম রিপন ঢালী ও নাঈম মোল্লার। তাদেরকে সহায়তা করছে বানারীপাড়া পৌরসভার সার্ভেয়ার সুমন ও তসিলদার বিমল। সার্ভেয়ার সুমন ও তসিলদার বিমল তহমিনার কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবী করে যা দিতে না পারায় তহমিনা তার স্বামী ও সন্তানদের উপর ক্ষিপ্ত তারা যা কান্না জনিত কন্ঠে তহমিনা বলেন। সার্ভেয়ার সুমন ও তসিলদার বিমল এতোটাই ক্ষিপ্ত যে তহমিনা বা তার স্বামির কোন দোকান না থাকা স্বত্ত্বেও বিগত দিনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন কুমার সাহাকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তহমিনার স্বামী মালেকের নামে দোকান উচ্ছেদের নোটিশ করে। এখানেই ক্ষান্ত নয় সার্ভেয়ার এবং তসিলদার। তহমিনা জানায় ঝড়ে তা দেবরের ঘরের চালের অংশবিশেষ ক্ষতিগ্রস্থ হলে সেটা মেরামত করতে গেলে বাধা দেয় সার্ভেয়ার সুমন ও তসিলদার বিমল বলে ইউ এন ও তাদের পাঠয়েছে। কাগজ দেখতে চাইলে থানায় লিখিত একটি দরখাস্ত দেখতে পাওয়া যায়। থানায় লিখিত অভিযোগ কিভাবে সার্ভেয়ার সুমন ও তসিলতার বিমল নিয়ে আছে। কেনইবা তাদের এতো আগ্রহ। কিছু হলেই সার্ভেয়ার সুমন ও তসিলতার বিমল তহমিনাকে হুমকি দেয় তোমার ডিসিআর বাতিল করে দিব। কোন ক্ষমতা বলে সার্ভেয়ার সুমন ও তসিলদার বিমল অসহায় হতদরিদ্র তহমিনাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছ। আলাউদ্দিনের চ্যারাকের মত ঐ সরকারী পুকুরের মালিক হয়ে গেল ঐ ওয়ার্ডের বাসিন্ধা জাহিদুল ইসলাম রিপন ঢালী ও নাঈম মোল্লা। এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহবুদ্দিনের ২ শতাংশ জমি ঐ পুকুরের পাশে থাকায় সেখানে সরকার থেকে দেয় ঘরের জন্য পুকুরটি বালু দিয়ে ভরাটের প্রয়োজন দেখা দিলে আর সেই সুযোগে পুরো পুকুরটি নিজেদের দখলে নিয়ে যায় যা ঐ সময় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সম্প্রতি অসহায় তহমিনা বেগম সরকার হতে দুটি ছাগল পায়। সংকীর্ন জায়গায বসবাসের পর অতিরিক্ত জায়গা না থাকায় পুকুরের দক্ষিন পাশে সরকারী জমি পড়ে থাকায় সেখানে অস্থায়ী ছাগলের ঘর নির্মান করে তহমিনা বেগম। রিপন ঢালী ও নাঈম মোল্লা সাথে সাথে সার্ভেয়ার ও তসিলদার এনে হুমকি ধামকি সহ তহমিনাকে বেদরক মারধর করে। মানধরের স্বিকার তহমিনা দীর্ঘদিন বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিল। তহমিনা জানায় হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় সার্ভেয়ার ও তসিলদার আমার ছেলেকে গাজাসহ ধরিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। এ প্রসংগে অভিযুক্তদের মোবাইল করলে ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।