বানারীপাড়ার ইলুহারে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বরিশালের বানারীপাড়ার ০২ নং ইলুহারে ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ ০৬ জন আহত হবার সংবাদ পাওয়া গেছে। ২ নং ইলুহার ইউনিয়নের০১ নং ওয়ার্ডে মেম্বর প্রার্থীদের মধ্যে এ সহিংসতার সৃষ্টি হয়। ঐ ওয়ার্ডের বিজয়ী মেম্বর আবুল কালাম( টিউব ওয়েল প্রতিক) ও তার সমর্থক শামীম হাসান, নিজাম তালুকদার, আবু বক্কর, কামরুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, রমজান, সান্টু’র হামলায় অপর প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক ( মোরগ প্রতিক), আর এক প্রার্থী ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম (ফুটবল প্রতিক), সমর্থক
মহসিন, শাকিল আহম্মেদ, তপন আহম্মেদ, সেরসা, কামরুল হাসান আহত হয়। অভিযোগে প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক বলেন যখন ভোট গগনা শেষ তখন আমরা বুঝতে পারি আমরা পরাজিত হয়েছি আবুল কালাম বিজয়ী হয়েছে। তখন আমাদের সমর্থককে বলি সবাই চল। জয় পরাজয় তো হবেই। তখন আমি, আমার সমর্থক ও অন্য প্রার্থী ও তার সমর্থকরা চলে আসতে শুরু করি। একটু আসলেই ওরা আমাদের পিছনে লাঠি নিয়ে তারা করে। ওদের ধাওয়ায় আমি পরে গেলে ওরা আমাকে মারধর করে। আমাকে সহ বাকী সবাইকেই ওরা বেধম মারধর করে। আমি ৭১ এ যুদ্ধ করেছি। দেশের জন্য জীবন বাজি রেখেছি। অথচ আজ ওরা আমাকে রাজাকারের বাচ্চা বলে, আমাকে মারধর করছে। তিনি কান্না জরিত কন্ঠে বলেন এই দিন দেখার জন্য কি সেদিন দেশ স্বাধীন করেছিলাম। আহতরা বলেন প্রার্থী ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলামকে ওরা বেধম মারধর করে। ওরা বিজয়ী হয়েই আমাদের উপর আজ ওরা হামলা করেছে। প্রকৃত অর্থে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা আক্রস পূরনের ধারাবাহিকতার সূত্রপাত। এখনই যদি লাগাম টেনে না ধরা হয় তাহলে ভবিষ্যতে এই সহিংশতা মারাত্মক আকারে রূপ নিবে। বর্তমানে আহতরা বানারীপাড়া স্বাস্থ্যকম্প্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সংবাদ লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।