ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সকে ইভটিজিং ও মারধর করার অভিযোগে প্রসান্ত কুমার দাস (২৫) নামের এক যুবককে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট সুফল চন্দ্র গোলদার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এ দন্ড প্রদান করেন।
বুধবার সন্ধ্যায় কাঠালিয়া পুলিশ প্রসান্ত কুমার দাস কে ঝালকাঠি আদালতে সোপর্দ করলে জেলা হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রসান্ত কুমারের স্ত্রী দোলন দাস লিখিত অভিযোগে জানান, চিকিৎসা করাতে গিয়ে পূর্ব আক্রোশের জের বিতর্কিত টিএইচ ডাঃ তপসের ষড়যন্ত্রে প্রসাশন কারসাজি করে তার স্বামীকে সাজা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট সুফল চন্দ্র গোলদার জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র ষ্টাফ নার্স ফাতিমা খানমকে অফিস চলাকালিন অবস্থায় ইভটিজিং ও মারধরের অভিযোগ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আমুয়া গ্রামের শুখরঞ্জন দাসের পুত্র প্রসান্ত কুমার দাসকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
অন্যদিকে দোলন দাস লিখিত অভিযোগে জানান, কিছুদিন পূর্বে বিতর্কিত উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ তপস কাঠালিয়ার গৃহবধূ মাহেনুর বেগমকে সিজার করতে গিয়ে জরায়ূ কেটে ফেলে। ঘটনায় তার স্বামী প্রসান্ত কুমার সংবাদ লেখে।এতে ক্ষিপ্ত হয় ডাঃ তাপসের ইন্ধনে স্থানীয় ক্লিনিক মালিক, আলানুর জমাদ্দার ও জহিরুলসহ কয়েকজনকে তাদের অকথ্য গালাগাল ও হুমিক দেয়। এ ঘটনায় ৯ জানুয়ারী নিরাপত্তা চেয়ে প্রসান্ত কুমার কাঠালিয়া থানায় একটি জিডি (নং-৪৪১) দায়ের করে।
বুধবার সকালে তার চিকিৎসা করাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে প্রসান্তকে ডাঃ তাপস ডেকে তার রুমে নেয়। রুমে ডুকতেই দরজা আটকে সে ও তার সহযোগীরা প্রসান্তকে মারধর করে। এরপর ইভটিজিংয়ের কাহিনী সাজিয়ে ইউএনওর সহযোগীতায় ভ্রাম্যমান আদালতের নামে তাকে ৬মাসের কারাদন্ড দেয়। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার দাবী করেন।